ইবিতে হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি: আবাসিক হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত প্রতিদিন হলগুলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে সমবেত হয়।
এসময় ‘প্রশাসনের প্রহসন মানিনা মানবোনা’, ‘একদফা একদাবি, আজকে হল খুলে দিবি’, ‘শিক্ষকরা ভিতরে, আমরা কেন বাহিরে?’ ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, খুলে ফেল হলের তালা, ভাওতাবাজি বন্ধ কর, হলগুলো অপেন কর, আমার হল বন্ধ কেন, জবাব চাই জবাই চাই, ’ সহ নানা স্লোাগানে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দেশের কোথাও করোনার ভয় নেই। সব স্বাভাবিক চলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসও খোলা আছে, পরীক্ষাও হচ্ছে। বাসে ঠাসাসাসি করে এসে এক বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষা দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাড়া আর কি কোথাও করোনা নাই? ক্যাম্পাসের আশেপাশে বাসা মেসও পর্যাপ্ত নেই। মেসে আমরা গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই থাকছি।’
তারা বলেন, বাইরে থাকার কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হামলা হয়েছে। মেয়েরা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকাই তাদের নিরাপত্তা নাই। অনেকেই টিউশনি হারিয়ে উচ্চ মূল্যে মেস-বাসাবাড়িতে থাকছেন। যেটা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বিশ্ববিদালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ তুলে ধরেন।

ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি তাদের আন্দোলনের সাথে একমত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, ল্যাব, শ্রেণীকক্ষগুলো যখন দেখি ফাঁকা পরে থাকে অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান করে বিষয়গুলো ভীষণ পীড়া দেয়। যদি সুযোগ থাকতো তাহলে আমিও শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিতাম।’ ‘আমরা চাইলেই হল খোলার ঘোষণা দিতে পারছিনা। এ সপ্তাহের শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমাদের মিটিং আছে। সেখানে দাবিগুলো সরকারকে জানাবো। আশা করছি অচিরেই আমরা কোনো নির্দেশনা পাবো।’
শিক্ষার্থীরা জানান, হল খোলা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে নেই। তাই সরকারী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।